বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যই প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র নেই। যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক বিএনপি মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাহেরা হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের মূল যে তিনটি স্তম্ভ থাকে, ইন্ডিপেন্ডেট জুডিশিয়ারি, ইন্ডিপেন্ডেট পার্লামেন্ট অ্যান্ড এফিশিয়েন্ট এডমিনিট্রেশন। এই তিনটার মধ্যে যদি একটা আরেকটার ওপরে চাপ সৃষ্টি করে বিশেষ করে যদি সরকার জুডিশিয়ারির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে তাহলে তারা (বিচার বিভাগ) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
তিনি বলেন, এখন যখন প্রধান বিচারপতি নিজেই বলছেন তখন তো জাতির কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে এই দেশে গণতন্ত্র নেই, জুডিশিয়ারি তার স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে সরকার বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করে চলেছে। বিরোধীমতকে দমনে বর্তমান সরকার ‘একনায়কতন্ত্রের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগও করেন বিএনপি মহাসচিব।
চলমান সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমরা বরাবরই বলে এসেছি, আমরা দেশে গণতন্ত্র চাই, এই সংকট সমাধানে চাই। এটা শুধুমাত্র আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। সরকারের উচিৎ একগুয়েমি পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসা।
পাঠকের মতামত: